মাহমুদুল আলম: দুর্গাদেবীর আরেক নাম কুমারী। নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে গতকাল যথাযথ মর্যাদায় কুমারী পূজা করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তবরূপ কুমারী পূজা। কুমারীতে মাতৃজাতির শ্রেষ্ঠত্ব, শক্তি, পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তি, সব কল্যাণী শক্তি সূক্ষ্ম রূপে বিরাজিত বিবেচনায় এই পূজা করে থাকেন তারা।
শারদীয় দুর্গোৎসবের এক বর্ণাঢ্য পর্ব কুমারী পূজা। বিশেষত কুমারীকে দেবী দুর্গার পার্থিব প্রতিনিধি হিসেবে পূজা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কালীপূজা, জগদধাত্রী এবং অন্নপূর্ণা পূজা উপলে এবং কামাখ্যাদি শক্তিেেত্রও কুমারী পূজার প্রচলন রয়েছে। তবে দুর্গা পূজায় এর মাহাত্ম্য বেশি বলে মনে করেন ভক্তরা।
সব মন্ডপে এ পূজার আয়োজন করা না হলেও দেশের রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু কিছু শাখায় তা মহাষ্টমীর দিনে গতকাল তা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর ও বরিশালে অন্যতম। গ্রাম অঞ্চলেও কোনো কোনো মন্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল।
সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী – এই তিনদিনই দেবী পূজার অন্তে কোনো কুমারী বালিকাকে নতুন বস্ত্র পরিধান করিয়ে দেবীজ্ঞানে পূজা করার রীতি। গত শনিবার মহাসপ্তমী পূজা শেষ হওয়ার পর থেকেই চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ কুমারী পূজার আয়োজন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম