জাফর আহমদ: সমুদ্র উপকূলীয় মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশের উন্নয়নে গৃহিত বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর প্রকল্প ‘ব্লু গোল্ড‘ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে ২০২০ সাল পর্যন্ত। আনুপাতিক হারে বাড়ছে প্রকল্প ব্যয়ও। দক্ষিণাঞ্চলের আবাদী জমিতে তুলনামূলক কম ফসল উৎপাদন হয় এবং প্রায় পুরো জমিতেই একের অধিক ফসল উৎপাদন করা যায় না। পাশাপাশি একটি বড় সময় ধরে জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন থাকে। এসব জমিতে একাধিক ফসল চাষ করতে নতুন নতুন স্লুইসগেট ও বাঁধ নির্মাণ, বিদ্যমান স্লুইসগেট ও বাঁধ সংস্কার করা এবং জল-জলানির্ভর পেশার উন্নয়নে ২০১৩ সালে ‘ব্লু গোল্ড’ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। ডেনমার্কের সাহায্য নির্ভর এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৭০ টাকা। মেয়াদকাল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রকল্প এলাকা হলো- দক্ষিণাঞ্চলের সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী ও বরগুনার ১০ উপজেলা। এ সব উপজেলার পানির সঠিক ব্যবহারে সংগঠন তৈরি, তা শক্তিশালীকরণ করা; বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য উৎপাদনের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা; শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে আয় বৃদ্ধি এবং উন্নত পুষ্টি এবং ব্যবসার সহায়তায় কাজ করছে এ প্রকল্প। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সম্প্রতি এমডিজি বাস্তবায়ন হওয়ার পর এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণে কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যসীমা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে হবে। এরই অংশ হিসেবে সরকার এ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মতামত নিয়ে এফএওর কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশের দণিাঞ্চলে কৃষি উন্নয়নের জন্য ২০১৩ সালে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করে। মহাপরিকল্পনার আওতায় দক্ষিণাঞ্চলের ১৪ জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্পাদনা : রিকু আমির