কিরণ সেখ: স্বৈরশাসক এরশাদ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল রোববার ‘শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ দিবস উপলক্ষে’ গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শহীদ জেহাদ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। রক্তঝরা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধাী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে জেহাদ পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন। শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান। পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে। তাই গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা এবং এর বিকাশ সাধন করতে হবে। আর এজন্য আমাদের আরও সংগ্রাম করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। আজ রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে অগণতান্ত্রিক অপশক্তি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে। তাই শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করেই দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে সক্ষম হব।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নির্ভীক সৈনিক শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। একই সঙ্গে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম