ডেস্ক রিপোর্ট: আঞ্চলিক বাণিজ্যের েেত্র বিদ্যমান অশুল্ক ও আধা শুল্ক প্রতিবন্ধকতা দূর করা গেলে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাকি বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এজন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তঃবাণিজ্য বাড়াতে অভিন্ন মান ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি অ্যাক্রেডিটেশন ও পরীণ সনদের পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতার উপর গুরুত্ব দেন তিনি। গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সার্ক এক্সপার্ট গ্রুপ অন অ্যাক্রেডিটেশনের (সেগা) ৫ম সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দণি এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য ও সেবার গুণগত মানোন্নয়নের ল্েয এ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জার্মানির মান সংস্থা পিটিবির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর আয়োজন করে।
বিএবির মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক এল. সাবিত্রি, জার্মানির মান সংস্থা পিটিবির প্রতিনিধি ড. ক্রিস্টিয়ান স্টেঞ্জ বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সার্কভুক্ত অঞ্চলে ১.৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার বিশাল বাজার থাকলেও পণ্যের গুণগতমান ও মান অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বাণিজ্যের েেত্র অশুল্ক ও আধা শুল্ক প্রতিবন্ধকতার কারণে সার্কভুক্ত অঞ্চলে ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে। ফলে এ অঞ্চলে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ দেশগুলোর মোট রপ্তানি বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ।
আমির হোসেন আমু বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে বাংলাদেশ কোয়ালিটি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ল্েয ইতোমধ্যে একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। খুব শিগগিরই কোয়ালিটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। পণ্য ও সেবার গুণগতমান সনদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের ল্েয বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এর ফলে বিএবি ইতোমধ্যে ৪০টি স্থানীয় ও বহুজাতিক টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন গবেষণাগার, একটি মেডিকেল গবেষণাগার, দু’টি সার্টিফিকেশন সংস্থা ও একটি ইন্সপেকশন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানে সম হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মান বিশেষজ্ঞ ছাড়াও জার্মানি এবং দণি এশিয়া আঞ্চলিক মান সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ নেন। সভায় সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন মান প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মান অবকাঠামোর উন্নয়ন, বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা অপসারণসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সার্ক অঞ্চলের অবস্থান শক্তিশালী করার ল্েয গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সূত্র: জাগোনিউজ, সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম