মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: পরিচ্ছন্ন নগরায়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, শিা, স্বাস্থ্য ও সড়কের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ২২২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এটি তার দ্বিতীয় বাজেট। গতকাল রোববার দুপুরে নগর ভবনের কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র। এবারের অর্থবছরের ৫৯২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার সংশোধিত বাজেটে নিজস্ব তহবিল থেকে ৩২৯ কোটি ১০ লক্ষ ১৬ হাজার এবং ২২৭ কোটি ৮০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। বাজেটে ৩৬টি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম নগরীকে গ্রিন ও কিন সিটিতে পরিণত করা ছাড়াও নগরীতে ছাত্রী এবং কর্মজীবি মহিলাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিশেষ কয়েকটি রুটে ২০টি এসি বাস চালু, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ১৯৯৫ সালের প্রস্তাবিত ড্রেনেজ মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন ও ২৬টি নতুন খাল খনন, যানজট নিরসনের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের পাশাপাশি বাস-ট্রাকের জন্য টার্মিনাল স্থাপন, সাইকোন সেন্টারসহ স্কুল নির্মাণ, গার্মেন্টকর্মীদের জন্য পল্লী স্থাপন। বাজেট ঘোষণার পর মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এবারের বাজেট নতুন এবং ইতিবাচক। বাজেট ঘোষণার পর তা বাস্তবায়ন করাই হবে মূল কাজ। তিনি বলেন, নগর উন্নয়নসহ জলাবদ্ধতা নিরসন হবে আমার প্রধান কাজ। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনে যে পরিমাণ ব্যয় হয় তার চেয়ে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। তবে আশা করা যাচ্ছে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় করা গেলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যপূরণ করা সম্ভব।
গত অর্থ বছরে সরকারের পক্ষ থেকে ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই তুলনায় এবার কেমন বাজেট আসতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী সব সময় আন্তরিক। আশা করছি এবার ভালো বরাদ্দ দেয়া হবে।
মেয়র জানান, বর্তমানে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে এর মধ্যে রাস্তা, ঘাট,নালা নর্দমা সংস্কারে ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি টাকা। বাকি দুইটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় হবে ৬২২ কোটি টাকা। মেয়র আরও জানান, এডিবি থেকে যে পরিমাণ অর্থ সহয়াতা পাওয়ার কথা ছিল সে পরিমাণ পাওয়া যায়নি।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান শিা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি