জাহিদ হাসান: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের ভিতরে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জনই মিয়ানমার পুলিশ অফিসার। দেশটির রাখাইন রাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল রোববার ভোরে এই হামলা চালানো হয়। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। রাখাইন রাজ্যের একজন কর্মকর্তা হামলার জন্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন বা আরএসওকে দায়ী করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রমণকারীরা তিনটি ছাউনিতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও বেশ কয়েকটি বন্দুক লুট করে নিয়ে গেছে। মিয়ানমারের এই রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে। এ সময় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডুতে অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠীর হামলায় টেকনাফে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গতকাল ভোররাতে রাখাইন প্রদেশের মংডুতে বর্ডার গার্ড পুলিশের তিনটি পোস্টে হামলা চালায়। টেকনাফে বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু জর আল জাহিদ জানিয়েছেন, রাতে গোলাগুলির শব্দ শোনার পর তারা দোভাষীর মাধ্যমে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
মিয়ানমার সীমান্তরী বাহিনী থেকেও তাদের জানানো হয়েছে যে তাদের কিছু আউটপোস্টে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম এলাকায় অবস্থান করে আরএসও তাদের কর্মকা- চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে মিয়ানমার। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে টেকনাফের একটি আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা এবং ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায়ও আরএসও জড়িত ছিল বলে বাংলাদেশের পুলিশের প থেকে জানানো হয়েছিল। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম