রিকু আমির: অনেক অভিভাবক মনে করেন, সন্তান মানসিক রোগাক্রান্ত, তাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলেই মানসিক রোগ ভাল হয়ে যাবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। এক্ষেত্রে বরং সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ আমাদের অর্থনীতিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। আজ ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ- সবার জন্য প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা’। হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানসিক রোগীকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা মানে সমস্যা আরও বৃদ্ধি করা। এ ধরনের চিন্তাভাবনা করাই উচিৎ নয়। তিনি বলেন, মানসিক রোগ হলে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না বা গুরুত্ব দেন না। এটা মোটেও সমীচীন নয়। এটা স্টিগমা বা সংস্কার। এটা থেকে বের হওয়া দরকার। হৃৎপি-ে রিং পরানোকে অনেকে গৌরবের মনে করেন, ক্যান্সার হলেও গৌরব করে। কিন্তু মানসিক রোগ বা সমস্যা হলে প্রকাশ করা বা চিকিৎসা গ্রহণ করা এখনও অনেকে লজ্জা মনে করছেন। সহকারী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাল্যবয়সে আমাদের শেখানো হয়েছে, আমরা শিশুদের শিখাচ্ছি- নখ ছোট রাখতে, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খেতে, সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে শরীরের যতœ নিতে। কিন্তু মনের যতœ নিতে উপদেশ দেওয়া হয় না। কিন্তু এটা খুবই জরুরি। মনের যতেœর বিষয়ে আমরা খুবই উদাসীন। শরীরের অন্যতম অনুষঙ্গ মন। বলা হয়, ‘নো হেলথ উইদাউট নো মেন্টাল হেলথ’। মানসিক রোগ হলে একজন মানুষ কর্মমতা হারায়। এতে ব্যক্তির, সমাজ ও রাষ্ট্রের তি হয়। ভাবলে দেখবেন, এতে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থের অপচয় হচ্ছে। তাই মানসিক রোগের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম