নুরুল আজিজ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ : দীর্ঘ ১৪ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ রোববার দুপুরে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, কমিটি ঘোষণার বিষয়টি পরে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
কমিটিতে সভাপতি পদে আবদুল হাইকে চূড়ান্ত করা হয়েছে যিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের প্রশাসক। সেক্রেটারি পদে আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে চূড়ান্ত করা হয়েছে, যিনি বর্তমানে জেলা যুবলীগের সেক্রেটারি হিসেবে আছেন। সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর নাম।
২০০২ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে ৬৩ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত থাকা আওয়ামী লীগে দুটি ধারা বিরাজমান ছিল। একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এসএম আকরাম। অপর অংশের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমান। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করে সাবেক এমপি এসএম আকরাম যোগ দেন নাগরিক ঐক্যে। এরপর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বিরোধ দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে ত্বকী হত্যাকা- নিয়ে উত্তাপ ছড়ায়। তবে মেয়র আইভী রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং ওসমান পরিবারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের কারণে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষেই অবস্থান নেয় মেয়র আইভী পন্থী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। উপ-নির্বাচনে সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই মূলত পাল্টে গেছে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির হালচাল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়েই দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম