এল আর বাদল: মাশরাফি, তাসকিন, সাকিব ও নাসিরের আত্মবিশ্বাসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যেভাবে ইংলিশ বোলাররা একের পর এক মাশরাফিদের দুর্গ ভেঙে ২৩৮ রানের পুঁজিতে আটকে রাখে। জবাবে টাইগার বোলাররা আরও বেশি ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বোলিং করে ২০৪ রানে আটকে দিয়ে ৩৪ রানের জয় তুলে নেয়। আর ব্যাটে বলে অনবদ্য পারফরমেন্সে ম্যাচসেরা হন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা । 
দলনায়ক মাশরাফির দুর্দান্ত পারফরমেন্স নিয়েও সরব আলোচনা স্টেডিয়াম জুড়ে। ম্যাচ জয়ের নায়কের তকমাটা তাকে দিল স্টেডিয়ামের দর্শকরা। মাশরাফিকে নিয়ে গ্যালারিজুড়ে সেøাগান তুলতে ভুল করেনি তারা। তামিম, সাকিব, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর ও সাব্বির যখন ব্যাটিংয়ে বর্থ, তখন নাসিরকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটে ঝড় তুলেন মাশরাফি। নান্দনিক ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলের খরচায় তিনি তিনটি ওভার বাউন্ডারি আর দুটি বাউন্ডারিতে তুলে নিয়েছেন ৪৪ রান। বল হাতেও শিকার করেছেন ৪ উইকেট। আর একারণেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও তার ঝুলিতে উঠেছে।
প্রবল চাপের মধ্যেও মাহমুদ উল্লাহ খেলেছেন ৭৫ রানের এক নান্দনিক ইনিংস। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি শেষে খেলে দিয়েছেন ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। তাতেই শেষ পর্যন্ত লড়ার মতো মাঝারি একটা সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। বোলাররা জেতাতে না পারলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারবে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচটা হেরেছে অবিশ্বাস্যভাবে।
এদিন টসে হেরে বাংলাদেশ ৫০ ওভার শেষ করতে পারবে কি না এ নিয়ে বারবার পড়েছিল সংশয়ে। মাহমুদ উল্লাহর এক প্রান্ত ধরে রাখার লড়াই শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬১ রান। এর ৮ রান পর ফিরেছেন মাহমুদ উল্লাহর সঙ্গেই ৪৮ রানের জুটি গড়া মোসাদ্দেক হোসেন (২৯)। ওটা ৪২তম ওভারের ঘটনা। গত কয়েকটি ম্যাচে শেষে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। নাসির হোসেন এই ম্যাচে ফিরেছেন একাদশে। তাতে এক প্রান্তে রেখে এরপর মাশরাফির আক্রমণ শুরু। দুজনেই ক্রিজে নতুন এবং তারাই অষ্টম উইকেট জুটিতে ইনিংসের সেরা ৬৯ রানের জুটি গড়েছেন। ৮.১ ওভার ব্যাট করেছেন তারা। ওভার প্রতি রান এসেছে ৮.৪৪। এসেই মঈন আলীর ওভারের শুরু ও শেষের বলে ছক্কা মারলেন মাশরাফি। এরপর ডেভিড উইলির শর্ট বলে প্রায় চোখ বুজেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ওই ওভারে আছে আরেকটি চার। এই তিন ছক্কার সাথে নিজস্ব ধরনে চারটি বাউন্ডারিও মেরেছেন। ইনিংস শেষ হওয়ার আগের বলে রান আউট হয়েছেন মাশরাফি। ফেরার ম্যাচে ২৭ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থেকেছে নাসির। ইংল্যান্ডের ওয়াক ও রসিদ দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।
জবাবে ইংল্যান্ড জয়ের জন্য ২৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। টাইগারদের বোলিং তোপে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। অধিনায়ক বাটলার সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম