যানজটমুক্ত ঢাকা, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটা হচ্ছে?
রবিউল আলম
ঢাকার যানজট মুক্ত করতে সরকারের পরিকল্পনার অভাব নেই। মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, সড়?পথ উন্নয়ন, ঢাকার চারদিকে ওয়াটার বাস, হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সি, ছোট যান থেকে বড় যান, রিকশার বিকল্প পথ, ট্রাক ও লরির রাত্রিকালীন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এত পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও কিছুতেই ঢাকাকে যানজট মুক্ত করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে জনসেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকাকে সম্প্রসারণ করে সেবার মান উন্নয়ন ও তড়িৎ নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দুইজন মেয়র নির্বাচিত করেছেন। ঢাকাবাসীর আকাক্সক্ষা পূরণে, যানজট মুক্ত করতে স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু ঢাকার যানজটের অন্যতম কারণ গরু-মহিষ চলাচল। এ বিষয়ে সরকারের ও কর্পোরেশনের কোনো নজরদারি নেই।
গাবতলী গরু হাট থেকে গরু নিয়ে যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর, কাপ্তান বাজার, নারায়ণগঞ্জ যাতায়াতে যে যানজট সৃষ্টি হয় তা ভয়াবহ। ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে হলে গাবতলী গরুর হাটের বিকল্প হিসেবে যদি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি স্থায়ী গরুর হাটের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে। দক্ষিণের মাংস ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে গরু নিয়ে টানাটানি করাসহ যানজট সৃষ্টি হতে মুক্তি পাবে। নগর সেবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গরুর হাট। তাই নগর সেবার অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে একটি স্থায়ী গরুর হাট অনুমোদন দিয়ে ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সেবার মান উন্নয়নে এক বিশাল রাজস্ব আয়ের ব্যবস্থাও করতে পারেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুই ভাগে ভাগ করায় অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। কর্পোরেশন দুই ভাগ হওয়ায় নাগরিক সেবায় দুই মেয়রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আজ ঢাকা নতুন সাজে সেজেছে। দুই মেয়র নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন ঢাকাকে সাজাতে। তাদের নতুন পরিকল্পনায় একটি গরু হাটের ব্যবস্থা রাখা হয় তাহলে যানজট কিছুটাও হলেও লাঘব হবে। ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার তা কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে, আদৌ হচ্ছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। কারণ ঢাকার পথে যানজট প্রায় লেগেই থাকে।
লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি/ সম্পাদনা: আশিক রহমান