বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসায় নারী নেতৃত্ব ২০ শতাংশ
হামিদুর রহমান: বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবসার ২০ শতাংশের নেতৃত্ব রয়েছে নারীদের হাতে। সাধারণ ব্যবসার তুলনায় (৫ শতাংশ) যা অনেক বেশি। এছাড়া সামাজিক ব্যবসার কর্মশক্তির ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের হার ৪১ শতাংশ। বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসার প্রভাব নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় এ চিত্র পাওয়া গেছে।
ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বে এবং বেটার স্টোরিজ, ইউএন লিমিটেড ও সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ইউকে-এর সহায়তায় ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘দ্য স্টেট অব সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ
ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ পলিসি ল্যান্ডস্ক্যাপ ইন বাংলাদেশ’ এ গবেষণা পরিচালনা করেছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশি সামাজিক ব্যবসায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। খুব কম সময়ে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত নিবন্ধিত সামাজিক ব্যবসাগুলোর ৭৭ শতাংশের নেতৃত্ব দেন ৩৫-এর কম বয়সী তরুণ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, শিক্ষা খাতে সামাজিক ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার ঘটেছে। তবে এ খাতে লিঙ্গবৈষম্য রয়েছে। বর্তমানে সামাজিক ব্যবসা নামের খাত থেকে বার্ষিক গড় আয় ২ দশমিক ১০ মিলিয়ন টাকা। আগামী অর্থবছরে এর পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বর্তমানে দেশে ১ লাখ ৫০ হাজার সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। যার সুবিধা গ্রহণ করছেন ২ লাখ ৭ হাজার মানুষ।
গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব এ খাতের বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় প্রতিবদ্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়াও অর্থনৈতিক সংকট, সচেতনতা এবং অর্থের নগদ প্রবাহের স্বল্পতা বড় ধরনের বাধা হিসেবে কাজ করছে। তাই গবেষকরা এর সমাধান হিসেবে অর্থ সাহায্য ও অনুদান এক্ষেত্রে অর্থের জোগান হতে পারে বলে মনে করছেন। এ ছাড়া স্বল্পমাত্রার ঋণও কিছু সমস্যা দূর করতে পারে বলে তারা মনে করেন।
এ জরিপে অংশ নেয় ১৪৯টি প্রতিষ্ঠান। গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেপুটি ডিরেক্টর জিম কার্থ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের গ্লোবাল সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ পার্টনারশিপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ট্রিস্টান এইক, বেটার স্টোরিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিনহাজ আনোয়ার, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান, ডিনেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. অনন্যা রায়হান প্রমুখ। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি