রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ ‘বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার শর্তেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে’
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রাশিয়ার, প্রকল্পের বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার শর্তেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্যদের এ তথ্য জানান বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রূপপুরএরপর
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গত কদির ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার শুরুতেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের স্পষ্ট বলেছি, বর্জ্য নিয়ে যেতে হবে।
বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু আমাদের এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই, তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আমরা নিতে পারব না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব রাশিয়াকেই নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়েছে। প্রকল্পের বর্জ্য রাশিয়া নিয়ে যাবে, বর্জ্য পরিবহনের খরচ আমরা দিয়ে দেব- এ চুক্তিও হয়েছে।
এসময় রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। তখন একমাত্র রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিল। রাশিয়া তখন বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়ায় আমাদের ভালো লেগেছিল। এখন একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল হওয়া ভালো লাগছে না, এ নিয়ে সমালোচনা হয়। তাও হয় একজন সাবেক রাশিয়াপন্থির পত্রিকায়।
রাশিয়ার অর্থায়ন, প্রযুক্তি এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয়ের ৯০ ভাগ অর্থ ঋণ দেবে রাশিয়া। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আলোচনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরাও অংশ নেন।