মায়াবতীর জনসভায় নিহত ৩, আহত ৩২
ইমরুল শাহেদ: উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) প্রধান মায়াবতীর জনসভায় তিনজন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, শত শত লোক এখনো তাদের নিখোঁজ আত্মীয়স্বজনদের আশপাশের এলাকায় খুঁজে বেড়াচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে ১৫ জন রয়েছে শিশু-কিশোর। মায়াবতীর এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, কানশি রাম মেমোরিয়ালের বাবাসাহেব ভিমরাও আম্বেদকার মাঠে। জনসভায় জড়ো হয়েছিল প্রায় এক লাখ লোক। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই দলিত সম্প্রদায়ের। এ সম্প্রদায়ের একটা নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে মায়াবতীর দলের প্রতি। মায়াবতীর জনসভায় প্রথম মারা যায় একজন নারী। এনডিটিভি জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্রতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর প্রদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন রয়েছে সমাজবাদী পার্টি। জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে মায়াবতী বলেছেন, জনগণ আগামী রাজ্যসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকে পরিহার করে। লক্ষ্মৌর এ জনসভায় প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও এক হাত নিলেন মায়াবতী। তিনি বলেন, মোদি সরকার উত্তর প্রদেশে ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে। উত্তর প্রদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিও তার সরকার রক্ষা করেনি। তিনি বলেন, গরু রক্ষার নামে সারা ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে ঠেকাতে হলে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে একটি ভোটও নষ্ট করবেন না। তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে মুসলিমবিরোধী উল্লেখ করে মোদি সরকার ভারত পাকিস্তান সীমান্তের ঘটনাবলী থেকে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করার চেষ্টা করছে বলে সবাইকে সতর্ক করে দেন। প্রশ্ন হলো নিহতের ঘটনা কিভাবে ঘটলো। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পুলিশ জানিয়েছে, ‘একটি গেটের দুদিক থেকে বিপুল লোক উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসছিল। এ সময় একজন পা পিছলে পড়ে যান। তখন শুরু হয়ে যায় হুলস্থূল। তখনই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।’ বিএসপির লক্ষ্মৌর চারবাগ রেলওয়ে স্টেশনের জনসভায় ২০০২ সালে ১২ জন দলকর্মী নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল ২২ জন। মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে প্রদান ও তাদের ভালো চিকিৎসার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে বিএসপিও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সম্পাদনা: