মোস্তাফিজুর রহমান: গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার পর গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নয় ‘জঙ্গি’র লাশ মর্গে রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু এত লাশ রাখার জায়গা না থাকায় অনেকটা বিপাকে পড়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের দায়িত্বশীল চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখানে যে জায়গা আছে তাতে চারটি লাশ রাখা যাবে। বাকি পাঁচটি লাশ ফেরত নিতে হবে। তবে বাকি পাঁচটি লাশ নিয়ে কোথায় রাখবে এটা নিয়ে পুলিশও ছিল খুব দুশ্চিন্তায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ঢামেকের মর্গে সর্বমোট ২০টি লাশ রাখা যায়। এর আগে মারা যাওয়া কয়েকজন জঙ্গির লাশ এখনো পড়ে আছে মর্গে। এছাড়া কয়েকটি ফ্রিজ নষ্ট থাকায় ৯টি লাশ এখানে রাখা যাচ্ছে না। এজন্য বাকি পাঁচটি লাশ ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সর্বশেষ জানা গেছে, ৯ জঙ্গির লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর হয়েছে।
ইতোমধ্যে রাজধানীর কল্যাণপুর, রূপনগর, আজিমপুর ও নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানকালে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যায়। তাদের লাশ পরিবার গ্রহণ না করায় তা রাখা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। সম্প্রতি হলি আর্টিজান ও কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের লাশ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দিলে তারা রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে লাশগুলো দাফন করেছে বেওয়ারিশ হিসেবে। গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও সাভারে নিহত জঙ্গিদের লাশও শেষ পর্যন্ত আঞ্জুমানে মফিদুলে যেতে পারে বলে জানা গেছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম