আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানিতে গ্রেপ্তার হওয়া সিরীয় সন্দেহভাজন জাবের আল বকর একটি বোমা তৈরি করছিলেন এবং সম্ভবত রাজধানী বার্লিনের একটি বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। বিডিনিউজ
সোমবার এ কথা জানিয়েছেন জার্মানির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বিএফভি-র প্রধান হ্যান্স গেওর্গ মাস্যন। পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি-কে তিনি জানান, গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে আভাস পাওয়া যায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) জার্মানির যোগাযোগ অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। গেল বৃহস্পতিবার গোয়েন্দারা পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য স্যাক্সনিতে সন্দেহভাজনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন, জানান মাস্যন। তিনি বলেন, ‘পরের দিন আমরা দেখতে পাই একটি মূল্যহ্রাসের দোকান থেকে সে (বকর) হট গ্লু কিনছে। আমরা বুঝতে পারি বোমা বানানোর জন্য এই রাসায়নিকটিই শুধু কেনা বাকি ছিল, আর তাৎক্ষণিকভাবেই অভিযান চালানোর সব প্রস্তুতি নিয়ে নেই।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
তিনি জানান, প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্যে ট্রেনে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও পরে পরিষ্কার হয় বকর বার্লিনের একটি বিমানবন্দরে হামলার চালানোর পরিকল্পনা করেছিল।
জার্মানির শীর্ষ সরকারি আইন কর্মকর্তা পিটার ফ্রাঙ্ক নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় তার দপ্তর তদন্তের দায়দায়িত্ব তুলে নিয়েছিল।
এআরডি-র সংবাদ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সে খুব উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক তৈরি করেছে, যা করতে বিশেষ ধরনের বিশেষজ্ঞ দরকার-এই বিষয়টি থেকেই ঘটনার বিপদের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরিমাণে অনেক বেশি এ ধরনের বিস্ফোরক তৈরি করছে সে।’ এর আগে তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন তারা বকরের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ‘প্রায় দেড় কেজি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিস্ফোরক’ উদ্ধার করেছেন।
২০১৫ এর প্যারিস হামলার সময়ও আত্মঘাতী হামলাকারীরা এ ধরনের বিস্ফোরক (টিএটিপি) ব্যবহার করেছিল বলে জানিয়েছে স্যাক্সনি রাজ্য পুলিশ।
সোমবার সকালে জার্মান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সন্দেহভাজন বকর সম্ভবত আইএসের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত এবং সে প্যারিস ও ব্রাসেলস হামলার মতো সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
২২ বছর বয়সী বকর গত বছর ইউরোপের প্রবেশ করা শরণার্থীর স্রোতের সঙ্গে জার্মানিতে প্রবেশ করেছিল। ওই সময় জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল শরণার্থীদের জন্য জার্মানির সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। এখন বকরের এ ঘটনায় তিনি রাজনৈতিকভাবে আরো বেকায়দায় পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ