ধর্মীয় মতাদর্শের কারণেই তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ধর্মীয় মতাদর্শের কারণেই পুরান ঢাকার হোসনি দালানে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর এ ঘটনায় জড়িত ১৩ জঙ্গি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের ডিসি মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে জঙ্গিরা এ হামলা করেছিল বলে তদন্তে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এ মামলায় চলতি বছরের ২০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। সাঈদ ওরফে হিরণ ওরফে কামাল, জাহিদ হাসান ওরফে রানা ওরফে মোসায়েব, শাহাদাৎ ওরফে আলবানি ওরফে মাহফুজ ওরফে হোজ্জা, আব্দুল বাকি ওরফে আলাউদ্দিন ওরফে নোমান, আরমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, মাসুদ রানা, আহসান উল্লাহ মাহমুদ, আবু সাইদ সোলায়মান ওরফে সালমান, চান মিয়া, ওমর ফারুক ওরফে মানিক ও শাহজালালকে আসামি করা হয়।
সংগঠনটির সামরিক শাখার কমান্ডার হোজ্জা হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী। হোজ্জাসহ তিন জঙ্গি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। অবশ্য আদালত থেকে তিনজনকে বাদ দিয়ে বিচার শুরু হবে। পাঁচজন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পেও শিয়াদের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। মোহাম্মদপুরে বাসা ভাড়া নিয়েছিল তারা। পরে হোসনি দালানে হামলার পরিকল্পনা করে তড়িঘড়ি করে কামরাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া নেয়। হোসনি দালানের কবরস্থান থেকে মাহফুজ ওরফে আলবানি পাঁচটি গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। তার সঙ্গে রাশেদ ওরফে আশিক হামলায় অংশ নেন। শিয়া সম্প্রদায়ের বড় সমাবেশস্থলে বেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। তবে সিসিটিভি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপনসহ নিরাপত্তার কিছু উদ্যোগের কারণে জঙ্গিরা পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ অক্টোবর মধ্য রাতে হোসনি দালানে বোমা হামলা চালিয়েছিল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা। এতে ঘটনাস্থলে একজন এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম