গাজীপুরের অভিযানকৌশল আগে জঙ্গিদের গুলি-গ্রেনেড ফুরিয়ে নিয়েছিল পুলিশ
মাহমুদুল আলম : পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, পাতারটেকের ওই আস্তানায় জঙ্গিদের কাছে ৩টি পিস্তল, ১৩-১৪টি গ্রেনেড ও ১৮৫ রাউন্ড গুলি আছে। বগুড়া থেকে আসা ও অভিযানের সময় পুলিশের সাথে থাকা সোর্সই তাদের এই তথ্য দিয়েছিল।
চারপাশে খোলামাঠ, আর মাঝখানে দোতলা বাড়ির ওই আস্তানাটি পুলিশ ঘিরে ফেললে ভিতর থেকে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। এরপর পুলিশ মাঝে মাঝে গুলি ছুঁড়লে, ভিতর থেকে জঙ্গিরাও গুলি-গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে। মূলত চারঘণ্টার ওই অভিযানে এই কৌশলে সোর্সের দেওয়া তথ্যানুসারে জঙ্গিদের রশদ ফুরিয়ে নিয়েছিল পুলিশ।
গত শনিবার গাজীপুরে কাছাকাছি স্থানে র্যাব ও পুলিশের চালানো আলাদা দুইটি অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ-বিশ্লেষক জায়েদুল আহসান এই প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানান। গায়ে বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট থাকায় ওই অভিযানে রক্ষা পেয়েছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তাছাড়া আরেক পুলিশ সদস্যের হাতেও গুলি লেগেছিল বলে জানান বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুর আহসান।
তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হাড়িনাল এলাকায় র্যাব শনিবার যে অভিযান চালিয়েছিল, তা পুলিশেরই চালানোর কথা ছিল। ওই আস্তানার জঙ্গিরা দুর্গাপূজা ও আশুরার তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে কোনো হামলা চালানোর লক্ষ্য ছিল কিনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে সম্প্রতি রাজধানীর আজিমপুর থেকে আটক হওয়া তিন নারী জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছিল হাড়িনালের ওই জঙ্গিরা। এই তথ্যের ভিত্তিতে তিন নারীজঙ্গি আরেফিন প্রিয়তি, আবেদাতুল ফাতেমা ও শাহেলা আরফিনকে হাসপাতাল থেকে পুলিশ সরিয়ে নিয়েছিল বলেও জানান জায়েদুর আহসান। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি