নদী দখলদাররা মসজিদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে : নৌমন্ত্রী
রফিক আহমেদ: রাজধানী ঢাকার চারপাশে অবৈধভাবে নদী দখল করে অনেকে বাড়ি ও বিভিন্ন কারখানা স্থাপন করেছে। আর এ স্থাপনা রক্ষায় ঢাল হিসেবে দখলকৃত জমির পাশে নির্মাণ করেছে মসজিদ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল’ রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এলার্ট) আয়োজিত দনদী ও আমাদের অর্থনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, যাতে তাদের দখলমুক্ত করা না যায়। তাই এসব অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করতে শিগগিরই মাঠে নামবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নৌবাহিনীর সহযোগিতায় নদী দূষণমুক্ত করতে নৌ-পরিবহনমন্ত্রীকে প্রধান করে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই নদী দূষণমুক্ত করতে মাঠে নামবে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, যারা নদী দখল করে তারাও এক ধরনের রাজাকার। শিগগিরই আমরা অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করতে মাঠে নামবো। এ স্থাপনা যারই হোক না কেনো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সব ধ্বংস করা হবে। নদী রক্ষার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষার প্রশ্নে যতোটা কঠোর হতে হয়, ততোটা কঠোর হবো। আইনের কঠোর প্রয়োগ না হলে কেউ মানেন না। সুতরাং আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে ২৪ হাজার কিলোমিটার নদীপথের মধ্যে শুষ্ক মৌসুমে মাত্র ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ সচল থাকে। এ সরকারের আমলে ৭টি ড্রেজার ক্রয় করা হয়েছে। আরও ২০টি ড্রেজার কেনা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ৫টি ফেরি কেনা হয়েছে। ফেরি কেনার ব্যাপারে আগের সরকারের আমলে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ সরকারের আমলে আরও ৯টি কেনার উদ্যোগ নিয়েছ্।ে
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মিলিত জলাধার রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক ইবনুল সাঈদ রানা।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ল’ রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এলার্ট) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের সাবেক পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. এস আই খান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি