ঢামেকের সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট থেমে আছে জোড়া শিশুর অস্ত্রোপচার
মবিনুর রহমান: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় গাইবান্ধার জোড়া শিশুর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত থেমে আছে। সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য পরীক্ষা শেষে শিশু দুটিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আগে জানিয়েছিলেন ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহনুর।
ঢামেকের সিটি স্ক্যান মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় গতকাল সোমবার গ্রীন রোডে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ১১ দিনের জোড়া শিশু দুটিকে সিটি স্ক্যান পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় সিটি স্ক্যান না করেই দুই নবজাতককে ঢামেকে হাসপাতালে ফেরত পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জোড়া শিশুর বাবা রাজু মিয়া জানান, চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন সিটি স্ক্যান করার পূর্বে জোড়া শিশু দুটির এনেসথেসিয়া করতে হবে। এনেসথেসিয়া করার সময় বাচ্চা দুটির সমস্যা হতে পারে। এ কারণে তারা ঝুঁকি নিলেন না
শিশু দুটির চিকিৎসা এখন কোন পর্যায়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহনুর জানান, ঢামেকের সিটি স্ক্যান মেশিনটি নষ্ট। এ কারণে বাইরে থেকে শিশু দুটির সিটি স্ক্যান করাতে হবে। দুদিন সরকারি বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিশু দুটির চিকিৎসা ব্যয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করছে।
তিনি জানান, এর আগে আমরা শুধু মাথা জোড়া লাগানো নবজাতক দেখেছিলাম। কোমর কিংবা পায়ুপথ জোড়া শিশু এবারই প্রথম। আমরা প্রতিনিয়ত নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করছি। তাদের সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করছি। তাদের আলাদা করা যাবে কিনা সেই সম্ভাবনাও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা তাদের দেখে যাচ্ছেন, সবার রিপোর্ট হাতে পেলে একসঙ্গে বসে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিশুদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা স্বাভাবিক। দুজনই স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব-পায়খানা করছে। তাদের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফির মতো জেনারেল কিছু টেস্ট করানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন ইউনিয়নের মো. রাজু মিয়া ও শাহিদা বেগমের ঘরে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয় জোড়া লাগানো ওই দুই মেয়ে নবজাতক। পরে ঘটনাটি আলোচিত হলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের গত শনিবার ঢামেকে ভর্তি করা হয়। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু