খাদিজা এখন চোখ মেলে তাকায় মাঝে মধ্যে দেখে তার অচেনা আপন ভুবন
এস.ইসলাম জয়: খাদিজা এখন চোখ মেলে তাকায়। তবে কারও ডাকে সে সাড়া দেয় না। কেননা তিনি এখনো ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট)। কখনও কখনও নিজে নিজে হাত-পা নাড়ে। একটু-আধটু করে চোখ মেলে দেখে তার অচেনা আপন ভুবন। আবার গুটিয়ে নেয় নিজেকে অজানা শঙ্কা কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্ধে। কখনও হাত কখনওবা পা নেড়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয় সে। রাজধানীর স্কয়ার হসপিটালে নিউরো আইসিইউর ৫ নম্বর বেডে ডা.এ.এম. রেজাউস সাত্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খাদিজা বেগম। গতকাল মঙ্গলবার ডা. সাত্তার জানান, এখন আমরা অনেকটাই আশাবাদী, ভর্তির সময়ও আমরা বলেছিলাম খাদিজার চিকিৎসা নিয়ে আশাবাদী। বর্তমানে আগের চেয়ে তার উন্নতি হয়েছে। তারপরও পুরোপুরি তাকে শঙ্কামুক্ত বলতে পারব না, যতক্ষণ না ভেন্টিলেশন খোলা হয়। তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে ভেন্টিলেশন ছাড়া রাখার চেষ্টা করা হয় যাতে স্বাভাবিক পরিবেশে থাকতে পারে। ধীরে ধীরে চেষ্টা করছি ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়ার। ভেন্টিলেশন খুলতে পারলেই কেবল তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে। এখনো তাকে অক্সিজেন নল দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুখ থেকে অক্সিজেন নল খুলে নার্গিসের গলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাকে লাইফ সার্পোট থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবেই এই উদ্যোগ। যাতে আমরা স্বাভাবিকে তাকে ফিরিয়ে আনতে পারি।
আঘাত-পরবর্তী শারীরিক-মানসিক অবস্থা জানতে চাইলে ডা. সাত্তার বলেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পরবর্তী অবস্থা বলতে কমপক্ষে তিন চার সপ্তাহ লাগবে। এরপর বলা যাবে তার মানসিক অবস্থা কেমন হবে। উল্লেখ্য, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম সিলেট এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ৪ অক্টেবর শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তখন থেকেই এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সম্পাদনা: আনোয়ার