মানবপাচার প্রতিরোধ দ্রুত উপকূল ও সমুদ্রে চলাচলকারী নৌযানে কর্মরতদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশ
আনিসুর রহমান তপন: মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে উপকূল ও সমুদ্রে চলাচলকারী নৌযান/ট্রলার এবং এসব যানে কর্মরত ব্যক্তিদের নিবন্ধন দ্রুত শেষ করতে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছ্।ে
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত মানবপাচার সম্পর্কিত আন্ত:মন্ত্রণালয়/আন্ত:সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটির ৮৫তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উপকূল ও সমুদ্রে চলাচলকারী নৌযান/ট্রলার এবং এ সব যানে কর্মরত ব্যক্তিদের নিবন্ধনের বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে এর আগে নির্দেশ দেয়া হলেও বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতি পাওয়া যায়নি। তবে মৎস্য অধিদফতরের অধীনে ‘জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের শনাক্তকরণ, নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম চলছে।
২০১৫ থেকে ২০১৬ এর মার্চ মাস পর্যন্ত ১ বছর সময়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্য অধিদফতর প্রায় এক হাজার ৫০০ প্রকৃত জেলেকে শনাক্ত করে ইতোমধ্যে পরিচয়পত্র দিয়েছে। ফলে মানবপাচার প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ নৌযানের মাধ্যমে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মানবপাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামীতে প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভাপতি আগামীতে এ সংক্রান্ত বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় মানবপাচার প্রতিরোধে সরকারের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন হবে না। এছাড়াও মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন বিধিমালা’ তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর আওতায় ইতোমধ্যে তিনটি বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং নেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এসব বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করা সম্ভব হয়নি। ফলে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিধিমালা জারির পরবর্তী কার্যক্রমসমূহ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয় বৈঠকে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি