বিসমিল্লাহর গুরুত্ব ও বরকত
মাওলানা আবদুল্লাহ হাসান
বিসমিল্লাহ দিয়েই সব কাজ শুরু করতে হয়। হাদিসে এসেছে, যে কাজ বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা না হয়, তা কল্যাণহীন ও বরকতশূন্য থাকে। বিসমিল্লাহকে বলা হয় সব কাজের সূচনাধ্বনি। এর মাধ্যমে কাজের শুরুতে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। এ বাক্য বলে কাজ শুরু করলে শয়তানের প্রবঞ্চনা থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং সেই কাজে আল্লাহ অফুরন্ত বরকত দান করেন। বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম- বাক্যটি সব ভালো কাজের শুরুতে মুসলমানরা কোরান-হাদিসের শিক্ষা অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকেন। কোনো চুক্তিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, চিঠিপত্র-এমন সব বিষয়ের শুরুতে বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করা ইসলামি রীতি। কোরানে কারিমও সূচনা হয়েছে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম দ্বারা।
ইসলামি জীবনবোধ, কর্মপদ্ধতি ও সার্বিক প্রেরণার উৎস হলো আল্লাহর নাম। বলা হয়, আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন যুগে নবি- রাসুলের কাছে যেসব কিতাব নাজিল করেছেন সেসব কিতাবের সংখ্যা প্রায় একশ চারটি। আগে নাজিল করা সব কিতাবের সারাংশ রয়েছে কোরানে কারিমে, আর পবিত্র কোরানের সার-নির্যাস রয়েছে সুরা ফাতেহার মধ্যে, আর সুরা ফাতেহার সার-নির্যাস রয়েছে বিসমিল্লাহর মধ্যে। প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। মুসলমানদের ঐতিহ্য হলো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। বিসমিল্লাহর গুরুত্ব ও বরকত অপরিসীম। তাই প্রত্যেক মুসলমান যে কোনো উত্তম কাজ বিসমিল্লাহ দ্বারা সূচনা করেন। পানাহারের সূচনায় বিসমিল্লাহ, কোথাও রওনা হলে বিসমিল্লাহ- এমন আরও অনেক ক্ষেত্রে তারা বিসমিল্লাহ বলে কাজের সূচনা করে থাকেন। অবশ্য কোনো অন্যায় ও ইসলামবহির্ভূত কাজের জন্য বিসমিল্লাহ বলা পাপ।