নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ১০০ দিনের মধ্যে মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসা উচিত : মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক
অরিজিৎ দাস চৌধুরি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক থিঙ্কট্যাঙ্ক পরামর্শ দিয়েছে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসন গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করা উচিত। এর ফলে দুটি দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি আসবে।
‘ইন্ডিয়া-ইউএসের অপারেশন’ নামের একটি রিপোর্টে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশানাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) লিখেছে আগামী মার্কিন প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে লক্ষ্য দেওয়া যে ভারত সেই সমঝোতায় হস্তাক্ষর করুক যেখানে দুটি দেশের নিরাপত্তা সম্পর্ক মজবুত হয়।
মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক মনে করে যদি এ ধরনের কোনো সমঝোতা না হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাবে যে তারা ভারতকে আধুনিক সেন্সিং, কম্পিউটিং টেকনিক প্রদান করতে পারে। আর এ জিনিসগুলো ভারতের নিজেদের নিরাপত্তা শক্তি বাড়ানোর জন্য খুবই প্রয়োজন।
সিএসআইএস নিজেদের রিপোর্টে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পরস্পরকে সাবমেরিন নিরাপত্তা এবং সাবমেরিনের মাধ্যমে যুদ্ধের প্রয়াসকে সংযুক্তভাবে প্রশিক্ষণ এবং কার্যক্ষমতার বিস্তার করা উচিত। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ এফডিআই নিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সুরক্ষা ক্ষেত্রতেও কথাবার্তা ব্যাপকভাবে হওয়া উচিত।
সিএসআইএস বলেছে, মোদির উদ্ভব হচ্ছে একজন শক্তিশালী নেতা রূপে। তাই আমেরিকাকে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর ক্ষেত্রে নিজেদের রাজনীতি আরও নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নেতার রূপে উদ্ভব হওয়া মোদির সঙ্গে বারবার আলোচনা করাই শ্রেয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই রিপোর্টের মাধ্যমে থিঙ্কট্যাঙ্ক বলেছে, নতুন প্রশাসনকে মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং জাপানের সঙ্গে ভালো নিরাপত্তা সম্পর্ক তৈরি করা উচিত। এ আলোচনা প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগর ক্ষেত্র নিয়ে হওয়া উচিত।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওবামা মোদির সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ককের নতুন মাত্রা দিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতি নিরাপত্তা মামলাতে একীভূত হয়ে আছে। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি