পাক গণমাধ্যমের প্রশ্ন আজহার ও হাফিজের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
এম রবিউল্লাহ: পাকিস্তানের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডন’ পত্রিকার সাংবাদিক সিরিল আলমেইদার পাকিস্তানের বাইরে যাওয়ার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে দেশটির সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষ। সূত্র: এনডিটিভি ও এবিপি নিউজ
পাকিস্তানের সরকার ও সেনা কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ‘দ্য নেশন’ এবার প্রশ্ন তুলল, কেন জাতীয় নিরাপত্তার সামনে ‘বিপদ’ হয়ে ওঠা জয়েশ-ই-মুহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার ও জামাত-উদ-দাওয়ার হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
হাক্কানি নেটওয়ার্ক, তালিবান, লস্করের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক বাহিনীর গোপন ইন্ধন দেওয়ার ইস্যুতে পাকিস্তানের সরকার ও সেনার মধ্যে বিরোধ রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেন আলমেইদা। এজন্য তাকে একজিট কন্ট্রোল লিস্টে ফেলেছে সরকার। তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এ প্রেক্ষাপটেই ‘হাউ টু লুজ ফ্রেন্ডস অ্যান্ড অ্যালিনেট পিপল’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে সংবাদপত্রটি বলেছে, আজহার, সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন সংবাদমাধ্যমকে লেকচার দিচ্ছে সরকার-সেনা!
ভারত বরাবরই বলে আসছে, জয়েশ নেতা তথা পাঠানকোট হামলার মাথা আজহার ও মুম্বাই হামলার মস্তিষ্ক হাফিজ পাকিস্তানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের পাহারা দিয়ে রাখছে পাকিস্তানের সেনারা। সেই অভিযোগকেই বৈধতা দিয়ে পাকিস্তানির দৈনিকটি বলেছে, কীভাবে সাংবাদিকরা তাদের কাজ করবেন, সে ব্যাপারে যখন সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ নেতৃত্ব জ্ঞান দিতে আসেন, সেটা হয় খুবই ভয়ংকর সময়।
তারা আরও লিখেছে, আলমেইদার খবরটিকে ‘বানানো’, ‘অনুমাননির্ভর রিপোর্টিং’ বলা হয়েছে। তবে সরকার ও সামরিক শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে না, তবে কেন পাকিস্তানে নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতি নিয়ে সরকারের লোকজনই আপত্তি করছেন, কেন আজহার ও সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, কেন পাকিস্তান ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে? সরকার ও সেনাকর্তারা কী করে একজন নামী সাংবাদিকের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করছেন? কীভাবে তারা এটা বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন যে, পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থ কী, সেটা ঠিক করার হক শুধু তাদেরই?
আলমেইদার প্রতিও সহমর্মিতা দেখিয়ে তার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে সংবাদপত্রটি। বলেছে, আপনার কলম আরও শক্তিশালী হোক, আপনার পাশে থাকছে প্রেস। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি