‘নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে ঐতিহাসিক নবযাত্রার সূচনা করবে’
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলী বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্টের এ সফর দুই দেশের অর্থনেতিক সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে ঐতিহাসিক নবযাত্রার সূচনা করবে। একই সঙ্গে চীনের প্রেসিেেডন্টর এ সফর বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের স্মারক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুকবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে ২৫টিরও বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। তবে বাংলাদেশ কী পরিমাণ আর্থিক সহযোগিতা পেতে যাচ্ছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মন্ত্রী।
মাহমুদ আলী জানান, এসব চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, ভৌত অবকাঠামো সড়ক-সেতু, রেল যোগাযোগ ও জলপথে যোগাযোগ, কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর হবে।
মন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে দুদেশের মধ্যে সমুদ্র সম্পদসহ দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সংযোজিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য এবং সুদৃঢ় নেতৃত্ব চীনের ভূয়সী প্রশংসা ও গভীর আস্থা অর্জন করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে এগিয়ে এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ত্রিশ বছর পর এটাই চীনের কোনো রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর। রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২৫টিরও বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে চীনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়ানজিয়ান বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সম্পাদনা: হাসান আরিফ