র্যাব- পুলিশে কোনো দ্বন্দ্ব নেই : আইজিপি
আজাদ হোসেন সুমন: আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, র্যাব-পুলিশে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। । গতকাল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পুলিশের বিডি হেল্প লাইন নামে একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘এই অ্যাপসের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য সরাসরি থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) জানাতে পারবেন। তথ্য প্রদানকারীর কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো ছবি, ভিডিও এবং ভয়েসও পাঠাতে পারবেন। অ্যাপসটির উল্লেখ্যযোগ্য দিক হলো এটি জনগণ পুলিশের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করবে। প্রয়োজনে পুলিশ তথ্য প্রদানকারী বা সেবা প্রত্যাশী ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবে। একই সঙ্গে তথ্য প্রদানকারী তার বার্তার উপর গৃহীত ব্যবস্থা দেখতে পারবেন। ব্যবহারকারী খুব দ্রুত এবং সহজে তাদের সমস্যা ও তথ্য পুলিশকে জানাতে পারবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, অ্যাপসটি চালু করা হয়েছে সেটা গুগল স্টোরে পাওয়া যাবে ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে অ্যাপসটির তদারকি কর্মকর্তা তথ্য প্রদানকারীর তথ্যাদির উপর গৃহীত ব্যবস্থা সরাসরি মনিটরিং এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হবে। জেলার এসপি, সার্কেল এএসপি, রেঞ্জ ডিআইজি এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্ষেত্রে জোনাল এসি, ডিসি এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় কমিশনারও এর তদারকি করবেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে র্যাব ডিজি কর্তৃক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দাখিল করা লিখিত অভিযোগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি দাবি করে আইজিপি বলেছেন, র্যাব-পুলিশে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আইজিপি বলেন, র্যাব যদি পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে চায়, তাহলে তার (আইজিপি) কাছেই করতে হবে। সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর করা যাবে না। প্রসঙ্গত সম্প্রতি র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের বরাবরে দেয়া হয়। চিঠিতে র্যাব সদস্য পরিচয় দেয়ার পরও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি, কটুক্তিপূর্ন মন্তব্যসহ শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয় পুলিশের বিরুদ্ধে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাইফেলে বাট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য আইজিপি প্রশ্নের জবাবে উল্লেখিত বক্তব্য দিলেও তিনি এ প্রশ্নে কিছুটা বিব্রতবোধ করেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিষয়বস্তুর বাইরে প্রশ্ন না করার অনুরোধ জানান।
অতিরিক্ত ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ (আইসিটি) উদ্বোধনী সূচি পাঠ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিআইজি প্রশাসন বিনয়কৃষ্ণ বালা, ডিআইজি ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট হুমায়ুন কবীরসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম