চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা বিএনপির
শাহানুজ্জামান টিটু: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি তার এ সফরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছে দলটি। চুক্তিগুলো যাতে দুদেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরার্মশ দিয়েছে বিএনপি।
সফররত চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ হবে আজ বিকাল ৫টায় হোটেল রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে। চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে দলের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশে চীনের অর্থায়নসহ দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বৈঠকে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্যবৈষম্য কমাতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয় বৈঠকে স্থান পাবে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সম্মানে শারদীয় দুর্গা উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিয়ম অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের এ সফরে আমরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি। একটি বিষয় বুঝতে হবে, আমরা বাংলাদেশের স্বার্থটা যতটা না বুঝি, বিশ্বের আর যত দেশ আছে, তারা তাদের দেশের স্বার্থটা বেশি বুঝে। সুতরাং পারস্পরিক স্বার্থ সমন্বয় করে সবার স্বার্থ রক্ষা পায় এমন চুক্তি আমরা সকল দেশের সঙ্গে চাই।
গয়েশ্বর বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশে যে সরকারই আসে, সব সরকারেরই ভালো সম্পর্ক থাকবে।
চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কয়েকটি চুক্তির বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, কী চুক্তি হবে, মিডিয়াও এ ব্যাপারে অবগত নয়, আপনারা জানলে আমরাও জানতাম। চায়না প্রেসিডেন্ট আসবেন, কি নিয়ে আসছেন, কি দিতে আসছেন, কি চাইতে আসছে বা কি আমার দেশ চাচ্ছেÑ এটা আমরা জানি না। সাধারণত যেসব চুক্তি হয়, গণতান্ত্রিক একটি সরকারে সংসদে এসব আলোচনা হয়। যদিও এই সংসদ তাদেরই। আমরা পুরোপুরি অন্ধকারেই আছি। আমরা প্রত্যাশা করব ভালো কিছু হবে।
তিনি বলেন, সেজন্য আমরা চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের জন্য উপযোগী। অর্থাৎ অন্যের লাভের জন্য আমার ঘাড়ে যেন কোনো চাপ না পড়ে। পারস্পরিক লাভ হবে, সেক্ষেত্রে আমরা যেন জাতিগতভাবে লাভবান হই। সম্পাদনা: উম্মুল ওয়ারা সুইটি