সাহিত্যে নোবেল পেলেন বব ডিলান
জাহিদ হাসান: সাহিত্যে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন গায়ক ও গীতিকার রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান, সংগীত বিশ্ব যাকে চেনে বব ডিলান নামে।
বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১৩তম লেখক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব সারা দানিউস।
যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক ধারা সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে ডিলানকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয় বলে জানিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। ৭৫ বছর বয়সী ডিলানের সংগীতশিল্পী হিসাবে আবির্ভাব ঘটে ১৯৫৯ সালে। মিনেসোটার বিভিন্ন কফি হাউসে গাইতেন তিনি। ষাটের দশকেই সংগীত জগতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন ডিলান। তার ‘ব্লোইন ইন দ্য উয়িন্ড’, ‘মাস্টার্স অব ওয়ার’, ‘এ হার্ট রেইন’স এ-গোনা ফল’, ‘লাইক এ রোলিং স্টোন’ গানগুলো দ্রোহ ও স্বাধীনতার ভাব বহন করে। এই গানগুলো যুদ্ধবিরোধী ও নাগরিক আন্দোলনের অনেক সংগঠন মর্ম সংগীত হিসেবে ব্যবহার করে।
ডিলান প্রায় ৫০ বছর ধরে সংগীত জগতে সক্রিয় আছেন। এখনো তিনি গান লেখেন ও সংগীত পরিবেশনায় অংশ নেন। নোবেল একাডেমির পারমানেন্ট সেক্রেটারি সারা দানিয়াস আজ পুরস্কার ঘোষণার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বব ডিলানকে এই পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যরা ‘প্রশ্নাতীত মতৈক্যে’ পৌঁছান। আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে ডিলানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কারের ৮০ লাখ ক্রোনার।
গত বছর সাহিত্যে নোবেল পান বেলারুশের লেখক, অনুসন্ধানী সাংবাদিক সোয়েতলানা আলেক্সিয়েভিচ, যার ‘বহুস্বরের’ গদ্যকে সুইডিশ অ্যাকাডেমি অভিহিত করে ‘সমকালীন যাতনা আর সাহসিকতার সৌধ’ হিসেবে।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুসারে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অবদানের জন্য প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি