আবু সাইদ: থাইল্যা-ের রাজা ভূমিবল আদুলাদেজ আর নেই। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ৩টা ৫২ মিনিটে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। থাইল্যান্ডে রাজপ্রাসাদ থেকে এ সংবাদ নিশ্চিত করা হয়েছে।
৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন থাই রাজা। তার মৃত্যুতে থাই সরকারের পক্ষ থেকে এক বছরের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৪৬ সালে রাজ সিংহাসনে আরোহন করা ভূমিবল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময়ের রাজা। ৭০ বছর সময় ধরে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ে ছিল ৮৮ বছর। ১৯২৭ সালের ৫ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন রাজা ভূমিবল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে ওঠেন সুইজারল্যা-ে। সেখানেই শিক্ষালাভ করেন। এক সংকটময় মুহূর্তে তিনি থাইল্যান্ড রাজত্বের সিংহাসনে বসেন। ১৯৪৬ সালের ৯ জুন রাজা আনন্দ মহীদলের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় তার বিছানার পাশে। ওই অবস্থায় ওইদিনই তড়িঘড়ি করে তাকে মাত্র ১৮ বছর বয়সে সিংহাসনে বসানো হয়। এরইমধ্যে দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়া সিরিকিত কিতিয়াকারাকে ১৯৫০ সালে বিয়ে করেন ভূমিবল।
রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল থাইল্যান্ডের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে মানা হতো রাজা ভূমিবলকে। যেকোনো ক্রান্তিকালে থাই জনগণ তাকে অনুসরণ করতেন। তাকে থাইল্যান্ডের পিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়াও তিনি নবম রাম হিসেবে পরিচিত।
রাজা ভূমিবল ছিলেন একজন বিলিওনিয়ার। নিজ অর্থের কিছু অংশ তিন হাজারেরও বেশি প্রকল্পে ব্যয় করেছেন। এর অধিকাংশই গ্রাম্য এলাকায় অবস্থিত। কৃষি, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, পানিসম্পদ, যোগাযোগ এবং জনকল্যাণে এ অর্থ ব্যয় করা হয়। থাইল্যান্ডে তার জনকল্যাণমুখী অংশগ্রহণের কথা থাই গণমাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে তুলে ধরা হয়।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজা ভূমিবলের মৃত্যুর পর মহা ভাজিরালংকর্ণকে দেশটির নতুন রাজা নির্বাচিত করা হয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি