নিজস্ব প্রতিবেদক: ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সরকার ভেজাল ওষুধ তৈরির ৬৮টি কোম্পানি বন্ধ করেছে। এর মধ্যে ২৩টি স্থায়ী এবং বাকিগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এসব কোম্পানি চালু করে দিতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরা তদবির করছেন, কিন্তু সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নতুন ভবন ও অনলাইন রিপোর্টিং সিস্টেম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভেজাল ওষুধের কোম্পানি ১০০টি হলেও বন্ধ করা হবে। এ ধরনের কোম্পানিকে যেনো ওষুধ শিল্প সমিতির সদস্য না করা হয়, সে নির্দেশও দেন তিনি।
ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভেজাল ওষুধ বানায়, তারা অমানুষ। এসব কোম্পানির ওষুধ খেয়ে আপনার সন্তান, স্বজনের জীবনও যেতে পারে। তাই অনুমোদন দেবেন না’।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আবদুল মোকতাদির চৌধুরীসহ অনেকেই বক্তৃতা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। অন্যদিকে, ওষুধ প্রশাসনের সব কাজ অনলাইনভিত্তিক রিপোর্টিং সিস্টেমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে, যা মনিটরিং করতে প্রধান কার্যালয়ে ড্যাশ বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের কর্মকা-ের অনলাইনে প্রাপ্ত প্রতিদিনের প্রতিবেদন ড্যাশ বোর্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও প্রতিদিনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। সম্পাদনা : রিকু আমির