আমাদের বৈরি মনোভাব নেই স্বাগত জানানোর ইচ্ছা আছে
ইনাম আহমেদ চৌধুরী
আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম একটি বড় রাজনৈতিক দল। তার ২০তম সম্মেলন ঘিরে দল, দলের বাইরেও আলোনা হচ্ছে। বিএনপি গণতন্ত্র চর্চায় বিশ্বাস করে। যেহেতু গণতন্ত্রচর্চায় আমরা বিশ্বাস করি তাই আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। আমরা মনে করি, শুধু আওয়ামী লীগের সম্মেলনই নয়, অন্যান্য দলও এ ধরনের সম্মেলন করে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও যোগাযোগ বাড়ানো উচিত। আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন থেকে আমরা আশা করব দুটি জিনিস তা হচ্ছেÑ সরকার যেন সরকারি মাধ্যম বা সরকারি রিসোর্সগুলো দলের কাজে ব্যবহার করা না হয়। সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যেন এ সম্মেলনে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়। সরকারিভাবে জনগণকে প্রভাবিত করার মতো কোনোকিছু করা না হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনকে আমরা স্বাগত জানাই, সফলতা কামনা করি।
আওয়ামী লীগ যদি বিএনপিকে সম্মেলনে দাওয়াত দেয় তাহলে তবে তা গ্রহণ করা হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিবে আমাদের দলের প্রধান। এর আগের সম্মেলনে দাওয়াতের ব্যাপারটি কীভাবে কী হয়েছে সেটা আমার মনে নেই। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ সম্মেলন নিয়ে আমাদের কোনো বৈরি মনোভাব নেই বরং স্বাগত জানানোর ইচ্ছা আছে।
আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনে গণতান্ত্রিকচর্চা যেন হয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। সবার গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারিত্বমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সে সম্পর্কেও তারা সজাগ থাকবেন বলে আশা করছি। তাদের প্রচেষ্টার মধ্যে প্রমাণ হবে গণতান্ত্রিকচর্চায় কতদূর যেতে ইচ্ছুক তারা। একইসঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা, জাতীয় সম্মেলন থেকে কোনো পারস্পারিক বিরুদ্ধাচরণের উৎস হবে না।
পরিচিতি: ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম/ সম্পাদনা: আশিক রহমান