শি জিনপিং-খালেদা জিয়া বৈঠক ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের সমর্থন আশা করে চীন
শাহানুজ্জামান টিটু : উন্নয়ন কর্মকা- এবং ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে চীন যে অবদান রাখছে এতে চীনের পাশে বাংলাদেশ থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অপরদিকে চীনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকা-ে সবসময় সহযোগিতা ও পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠক শেষে বের হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর খিলক্ষেতে লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যকার এ বৈঠক হয়। বৈঠকটি প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে চলে।
এরপর মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এ বিষয়টি খালেদা জিয়া চীনা প্রেসিডেন্টকে স্মরণ করিয়ে দেন এবং বলেন, এরপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অকৃত্রিম সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সেই থেকে চীন সব সময় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ সব সময় আশা করে চীন তার উন্নয়ন কর্মকা-ে সহযোগিতা করবে, পাশে থাকবে।
একই সঙ্গে চীনও আশা করে বাংলাদেশ সব সময় চীনের যে উন্নয়ন কর্মকা- এবং একই সঙ্গে ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা পালন করছে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ চীনকে সমর্থন জোগাবে, বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় দলটির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা সফরে আসা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়া।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমান অবতরণের ঘণ্টাখানেক পর শুক্রবার বেলা ১টায় ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে চীনা রাষ্ট্রপ্রধানকে অভিনন্দন জানান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সফরকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই সফর নিঃসন্দেহে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।
তিনি বলেন, এদেশের জনগণ বিশ্বাস করে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশর জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত নিবিড়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণ চীনের অব্যাহত সহযোগিতার কথা স্মরণ করে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম