আজাদ হোসেন সুমন: জঙ্গিরা ভুয়া পাসপোর্ট ভুয়া আইডি ব্যবহার করে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট। গত তিন মাসে রাজধানীর বিভিন্ন জঙ্গি ডেরা থেকে জব্দকৃত পাসপোর্ট ও ন্যাশনাল আইডিকার্ড পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে জঙ্গিরা নিজেদের আসল পরিচয় গোপন রাখতে এ কৌশল অবলম্বন করে থাকে।
সূত্র জানায়, নব্য জেএমবির মূল অর্থদাতা আব্দুর রহমান আহতাবস্থায় গত শনিবার সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। পুলিশের দাবি তার বাড়ি সাতক্ষীরায়। পাওয়া গেছে তার বাবা মায়ের পরিচয়। অন্যদিকে সেই বাবা মা বলছে আব্দুর রহমান নামে আমাদের কোনো ছেলে নেই। এরপর প্রশাসনের আইনশৃখলা বাহিনী খুঁজে বের করে তার পাসপোর্ট। কিন্তু পাসপোর্টের সঙ্গেও মিলছে না রহমানের পরিচয়। গত শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আশুলিয়ায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বাড়ির ৫ তলার গ্রিল কেটে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আবদুর রহমান। এসময় সে গুরুতর আহত হলে র্যাব সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পর রাতে সে মারা যায়।
জেএমবির অর্থের সমন্বয়কারী আবদুর রহমান ওরফে নাজমুল হোসেনকে আটকের পর তার বাসা থেকে ৩০ লাখ টাকাসহ বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় রহমানের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুমিকে। বাইপাইলের ওই বাসা থেকে সাতক্ষীরার ঠিকানা সংবলিত একটি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) পাওয়া গেছে। পাসপোর্টে রহমানের বাবার নাম আবদুল্লাহ ও মা রাজিয়া খাতুন উল্লেখ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাতক্ষীরার ওই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে আবদুল্লাহ ও রাজিয়া দম্পতির খোঁজ পেয়েছে। তবে আবদুর রহমান নামে তাদের কোনো সন্তান নেই। ওই দম্পতির এক সন্তান আছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পাসপোর্ট সার্ভারে থাকা তথ্যের সঙ্গে আবদুর রহমানের পাসপোর্টের তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র বলছে আমরা একদিকে পাসপোর্ট অফিসে থাকা তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। অন্যদিকে জাল পাসপোর্ট ও ভুয়া এনআইডি প্রস্তুতকারী জালিয়াতচক্রের সন্ধানেও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সূত্রের দাবি তারা ইতিমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছে। শিগগিরই ভাল খবর পাওয়া যাবে বলে পুলিশ আশা করছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম