হাসান আরিফ: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, জমির ব্যবহার কমলেও প্রযুক্তির ব্যবহারে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। এর প্রমাণ আমরা একসময় ১ কোটি ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন করতাম। এখন ৩ কোটি ৮০ লাখ টন চাল উৎপাদন করছি। শিগগিরই ৪ কোটি টন চাল উৎপাদন করব।
গতকাল বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাদ্য এবং কৃষিও বদলাবে’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম এ সাত্তার ম-ল।
খাদ্য উৎপাদনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা বছরে ৯২ লাখ টন আলু উৎপাদন করছি। আমরা পৃথিবীর দ্বিতীয় মৎস্য উৎপাদনকারী দেশ। মাংস উৎপাদনে তেমন এগুতে না পারলেও পোল্ট্রি উৎপাদনে অনেক এগিয়েছি। গরুর মাংস উৎপাদনে সহায়তা করতে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আমাদের নিজস্ব গবেষণা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি আমাদের খাদ্যের গুণাগুণেও পরিবর্তন এসেছে। তবে খাদ্যের পুষ্টিতে আরও পরিবর্তন আনতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৫ লাখ মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। এক সময় সাড়ে ৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে চাল আমদানি হতো। এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে আমরা চাল রপ্তানি করছি। শ্রীলঙ্কায় চাল রপ্তানি করেছি। নেপালে সাহায্য করেছি। এখন আফ্রিকার বাজার ধরার চেষ্টা করছি।
১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচিতে কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি হলেও এটাকে সফল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন