ফারুক আলম: বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ জন্য কোনো নোটিস দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আগামী সাতদিনের মধ্যে জরিপ করে এসব স্থাপনার একটি তালিকা জমা দিতে হবে। নদীর পাড়ে ভরাট করা জলাশয়ের তালিকা প্রস্তুত করা এবং ওই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অথরাইজড কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। জলাধার সংরক্ষণ আইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না।
গতকাল (রোববার) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা’বিষয়ক এক সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আখতার হোসেন, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মো. আব্দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, নকশা অনুমোদনের পর যেকোনো ভবনের লেআউট দেওয়ার সময় রাজউকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারণ দর্শনোর জন্য রাজউককে নির্দেশ দেওয়া হয়। যেসব ভবনমালিক অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবন নির্মাণ করেছে তার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে এবং অনুমোদনের অতিরিক্ত অংশ ভেঙে ফেলতে হবে। ভবন নির্মাণ শেষে দখল সনদ ব্যতীত যাতে অন্যান্য সেবা সুবিধা না পায় সে জন্য ওয়াসা, বিদ্যুৎবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যও মন্ত্রী নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কেবল রাজউকই পরিবেশ ও প্রতিবেশের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়। সব নিয়ম-কানুন মেনে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ রক্ষা করে রাজউকই আবাসিক এলাকা গড়ে তোলে।