অগ্নি-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ সাংগঠনিক সম্পাদক
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসছে না। দলটির ১৯তম কাউন্সিলের পর ময়মনসিংহ বিভাগ তৈরি হওয়ায় নতুন করে সাংগঠনিক সম্পাদক পদের সৃষ্টি হয়। আগে
সাতটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদসহ এবার হচ্ছে আটটি।
আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনকে ঘিরে গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলো সাংগঠনিক সম্পাদকের পদগুলো। তৃণমূলের বিভিন্ন কোন্দল, অসন্তোষ সবই এসে পড়ে স্ব স্ব বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের উপর। এবারও জমেছিলো অভিযোগের পাহাড়।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই সাতজনের বিরুদ্ধে আসা সব অভিযোগই খতিয়ে দেখেছেন। মাঠপর্যায়ে তদন্তও করেছেন। শেষ পর্যন্ত ছোট খাটো কিছু ত্রুটি বিচ্চুতির পর সাংগঠনিক সম্পাদকরা অগ্নি-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তে কি হয় বলা যায় না।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে দলের সাত সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিয়োগ পান স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, আহম্মদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন ও মেজবাউদ্দিন সিরাজ। তাদের মধ্যে বিএম মোজাম্মেল ছাড়া অন্যরা প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পদে এসেছেন। কাউন্সিলের পরপরই সাত বিভাগের সাংগঠনিক কর্মকা- পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় এই সাতজনকে।
জাহাঙ্গীর কবীর নানক ঢাকা বিভাগ, আহমদ হোসেন চট্টগ্রাম, মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট, বিএম মোজাম্মেল হক খুলনায়, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম বরিশাল, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন রাজশাহী ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে রংপুর বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সম্পাদনা:আজাদ হোসেন সুমন