সভাপতি শেখ হাসিনা সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ দুই শীর্ষ পদ চূড়ান্ত
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: এবারও আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি হচ্ছেন বর্তমান সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের পদটিও এখন পর্যন্ত প্রায় নিশ্চিত। তৃতীয়বারের মতো এবারও দলের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। দলের দুই শীর্ষ পদের অবস্থান অনেকটাই নিশ্চিত। বড় ধরনের
কোনো ঘটনা ঘটলে এ দুই পদে নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় দলের ত্রিবার্ষিক এ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। নির্ধারণ হবে কোন নেতা কোন পদ পাবেন। দলের কার্যনির্বাহী কমিটিতে পদ রক্ষা এবং নতুন পদ পাওয়ার আশায় চলছে নেতাদের শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ। বিগত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদের পরিবর্তন হয়নি। দ্বিতীয়বারের মতো এ পদে বহাল রয়েছেন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এবারও পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না এমন মন্তব্য একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে (সম্মেলন) গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন, পরিবর্ধনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটির আকার বৃদ্ধি এবং নতুন আঙ্গিকে দলের ঘোষণাপত্র পেশ করবে আওয়ামী লীগ। ঘোষণাপত্রে থাকবে পরবর্তী (একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিক-নির্দেশনা। আওয়ামী লীগের বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি, সভাপতিম-লী, সাধারণ সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ), সম্পাদকম-লী, কোষাধ্যক্ষ এবং সদস্য এ ৬ ধরনের পদ নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত। এর মধ্যে একজন সভাপতি, ১৩ জন সভাপতিম-লীর সদস্য, একজন সাধারণ সম্পাদক ও ৩ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদকম-লীতে ২১টি পদে (সাংগঠনিক ৭) ২৮ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে একজন এবং সদস্য ২৬ জনসহ মোট ৭৩ জনের একটি কমিটি রয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এবার সভাপতিম-লী এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের আকার বাড়বে। সভাপতিম-লীতে আরও ৩ জন এবং ময়মনসিংহ নতুন বিভাগ হওয়ায় সেখানে একজন সাংগঠনিক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হবে। সম্পাদকম-লীতে একটি প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদকসহ আরও তিনটি নতুন পদ বাড়বে। সবমিলে কার্যনির্বাহী কমিটির আকার ৭৭ থেকে ৮১ সদস্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন