বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও কর্মকর্তারা দাঁড়িয়ে সম্মান জানালো বাংলাদেশকে
বিশ্বজিৎ দত্ত: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার জিম ইয়ং কিম বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে বিশ্বব্যাংক অত্যন্ত প্রশংসার চোখে দেখে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন। তিনি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত বাংলাদেশে কর্মরত বিশ্বব্যাংকের সব কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের উন্নয়নকে দাঁড়িয়ে সম্মান জাননোর জন্যও বলেন। তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তারাও
দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। গতকাল ঢাকার ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্বদারিদ্র্যবিমোচন ২০৩০ ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শীর্ষক প্যানেল আলোচনা শেষে তিনি বাংলাদেশের প্রতি এ সম্মান জানান। আলোচনার সঞ্চালক ছিলেনÑ সিএনবিসির এমডি শিরিন বানু।
আলোচনায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানত অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চরম দরিদ্র মহিলাদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। এখন ৪টি মন্ত্রণালয় জেন্ডার বাজেট দিচ্ছে। ক্রমান্বয়ে সবগুলো মন্ত্রণালয় জেন্ডার সমতার বাজেট প্রণয়ন করবে। গর্ভবতী নারীদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সুবিধার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে এবার ২০ জন নারী সরাসরি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। আরও ৫০ জন নারীর সংরক্ষিত আসন রয়েছে। সংসদ সদস্যের তুলনামূলক বিচারে ভারতের চেয়েও নারীর অংশগ্রহণ বেশি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আমাদের উন্নয়নের প্রধান দিকটি হলোÑ আমরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবদিক দিয়ে উন্মুক্ত। তিনি বাংলায় বলেন, শুধু আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি এটি ছাড়া সব ক্ষেত্রেই আমরা উদার। পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ব চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে জনসংখ্যা ১২ দশমিক ৯। আমাদের দেশে এখন চরম দরিদ্রের হার ১২ শতাংশ। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই আমরা ক্ষুদামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠন করব। তিনি বলেন, ১৪ বছর আগেও বাংলাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু স্কুলে যেতে পারত না। এখন একশ ভাগ শিশু স্কুলে যায়। তিনি বলেন, আমি নিজে একজন ব্যবসায়ী ছিলাম, আমি জানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা। তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি ২০৩০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। আলোচনায় নারী উদ্যোক্তা রুবানা হক বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ ক্রমাগত বাড়ছে। নারী উদ্যোক্তারা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ কোলেটারাল ছাড়াই পাচ্ছে। তবে তিনি মনে করেন, উন্নয়নের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কিছু পরিবর্তন করতে হবে। অ্যাকশন এইডের আবাসিক প্রতিনিধি ফারাহ কবীর বলেন, বাংলাদেশের ইমেজ সংকটের বিষয়টি প্রমাণ ছাড়া বলা হচ্ছে। এসব প্রচারণায় রাজনীতি যুক্ত রয়েছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম