পুলিশ বাহিনীর কলেবর ও কাজের পরিধি বাড়ছে
আজাদ হোসেন সুমন: দিন বদলের পালায় বদলে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীও। দিন যত যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীর কলেবর বাড়ছে। বাড়ছে লজিস্টিক সাপোর্টও। ফলে পুলিশ সদস্যরা স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হচ্ছে।
সূত্র জানায়, পুলিশ ইন্সপেক্টরদের প্রাণের দাবি ছিল প্রথম শ্রেণির মর্যাদা। ২০০৯ এ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০১১ সালেই পুলিশের এ দাবিটি পূরণ করে। ২০১১ জানুয়ারিতে পুলিশ সপ্তার জমকালো অনুষ্ঠানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর ইন্সপেক্টর পদটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদার ঘোষণা দেন। তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদ বর্তমানে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। সে অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীও এর বাইরে নয়। পুলিশ এখন প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, মেধা তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত। আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ছে দিন দিন। ফলে পুলিশের সার্ভিস দেওয়ার ক্ষমতা বেড়েছে।
২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরই পুলিশ বাহিনীতে আরও ৫০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেওয়া এবং পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেয়। সে অনুযায়ী গত ২ বছরে প্রায় ২২ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, এসপি বিএনসহ পুলিশ বাহিনীতে নিত্য নতুন ইউনিট যোগ হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, পুলিশি সেবাকে সর্বস্তরে দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। এ ব্যাপারে গতকাল দৈনিক আমাদের সময় ডট কম এর এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক চাপ না থাকায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে পারছে।
এছাড়াও পুলিশ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই হাজারো সমস্যায় জর্জরিত ছিল। যানবাহন, আবাসন, জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি পুলিশের লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়াতে সরকার ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে পুলিশ সদস্যরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জঙ্গিরা পরিকল্পিতভাবে আঘাত হানলেও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিস্থিতি সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের আইনগত সহায়তা চাওয়ার মূল জায়গা বলে পরিচিত থানাগুলোও এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর। তিনি বলেন, অনলাইনে জিডি করার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে-এটা ভালমন্দ দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমাহুদা বলেন, পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে জনমনে এখনো নেতিবাচক ধারণা বিদ্যমান। কারণ থানায় আইনের সহায়তা চাইতে গিয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে এরকম অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে। তবে তুলনামূলকভাবে অভিযোগের সংখ্যা কমেছে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশি সেবার মানোয়ন্ননে সরকারও যথেষ্ট সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম