স্ত্রীর ইচ্ছায় জেএমবি নেতা আরিফের দাফন শ্বশুরের গ্রামে
বাগেরহাট প্রতিনিধি : নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফকে গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসি কার্যকরের সোয়া ৩ ঘণ্টা পর বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর উত্তরকান্দি সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় রাত পৌনে ১টার দিকে আসাদুলের মরদেহ তার স্ত্রী খাদিজার ইচ্ছায় শ্বশুরবাড়ি মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর উত্তরকান্দী গ্রামে আনা হয়।
উদয়পুরে আরিফকে দাফনের সময় তার নিজ বাড়ি বরগুনা জেলার সদর থানাধীন বান্দরগাছি গ্রামের কয়েকজন নিকটাত্মীয় ও শ্বশুর এবং শ্যালক মিলে ১৭/১৮ জন ব্যক্তি কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় নির্বিঘেœ জানাজা এবং দাফন সম্পন্ন করেন। রাত ১টা ৪৫ মিনিটে দাফন সম্পন্ন হয়।
শ্বশুর মো. কওসার মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ফাঁসির পর গভীর রাতে আরিফের লাশ পৌঁছলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে দাফন করা হয়। তিনি আরো বলেন, তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার আগে জানতেন না আরিফ একজন জঙ্গি। তার মেয়ে খাদিজার দুটি মেয়ে, নুছাইবার বয়স সাড়ে ৮ বছর ও মারিয়ামের সাড়ে ৭ বছর। এছাড়া আরিফের ফাঁসির পর তার স্ত্রী খাদিজা (৩০) অসুস্থ থাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দেন। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা কারাগারে দ-িত আসাদুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে কারা কর্তৃপক্ষ আসাদুলের স্ত্রী খাদিজা বেগমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম খায়রুল আনাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারায় মরদেহ পৌঁছানোর পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।