অনন্ত হত্যা মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : সিলেটের বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেননি আদালত। মঙ্গলবার সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমার চার্জশিট ফেরত দিয়ে পুনরায় তদন্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা সিআইডির ইন্সপেক্টর আরমান আলী ৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। চার্জশিটে ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীসহ ১১ জনকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
সিলেটের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম জানান, চার্জশিটে ত্রুটি থাকায় আদালত শুনানি শেষে ফের তদন্ত করে চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। সিলেট আদালতের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট গ্রহণের শুনানির কথা ছিল। আদালত চার্জশিট গ্রহণ না করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আলোচিত এ হত্যা মামলায় ২৮ সেপ্টেম্বর দাখিল করা চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ফালজুড় গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন ওরফে আবুল হোসাইন (২৫), খালোপাড় তালবাড়ি গ্রামের আবদুর রবের ছেলে ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর বাগলী গ্রামের মো. আমির উদ্দিনের ছেলে হারুনুর রশিদ (২৫), সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের হাফিজ মঈন উদ্দিনের ছেলে মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এবি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) এবং ফালজুড় গ্রামের জোয়ায়াদুর রহমানের ছেলে আবুল খায়ের রশিদ আহম্মদ (২৪)। এদের মধ্যে মান্নান ইয়াহইয়া ও আবুল খায়ের কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। এছাড়া এ মামলায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় গ্রেফতার ১১ আসামিকে অব্যাহতির আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালীশ্রী পাড়ার ফেরদৌস-উর-রহমানের ছেলে শফিউর রহমান ফারাবী (৩০), সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেটের ফটো সাংবাদিক মো. ইদ্রিছ আলী (২৪), কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের হাফিজ মঈন উদ্দিনের ছেলে মোহাইমিন নোমান (১৯), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার রমনপুর জমাদার বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাদেক আলী মিঠু (২৮), যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার এসএমএ করিম রোডের এএফ রশিদুর রহমানের ছেলে মো. তৌহিদুর রহমান গামা (৫৯), ঢাকার মিরপুরের জব্বার মল্লিকের ছেলে আমিনুল মল্লিক (৩৫), যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলার মইনউদ্দিনের ছেলে জাকিরুল্লাহ হাসান (১৯), পল্লবীর বাউনিয়াবাদ কলোনি বিল্ডিংয়ের তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরফান মুসফিক (২০), বাগেরহাটের গোয়াখালি গ্রামের রেজাউল কবির বিশ্বাসের ছেলে জুলহাস বিশ্বাস (২৪), নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের ডা. আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে জাফরান হাসান (২০) এবং বরগুনার হেউলিবুনিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আবুল বাশার (৪০)। ২০১৫ সালের ১২ মে সকালে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে বাসার পাশেই নূরানী দীঘিরপাড়ে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে অনন্ত বিজয় দাশকে। পরদিন নিহতের বড় ভাই রত্মেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম