অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ইকুয়েডর : উইকিলিকসের অভিযোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ও কর্পোরেশনের গোপন নথি ফাঁস করে আলোড়ন তোলা বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস অভিযোগ করেছে, ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তবে অ্যাসাঞ্জকে হত্যার গুজব ছড়ানোর পর ইকুয়েডর জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জকে রক্ষা করে যাবে।
সোমবার উইকিলিকসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ‘সরকারের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমারা বিকল্প পরিকল্পনা শুরু করেছি।’ গার্ডিয়ান
ওই টুইট বার্তার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাসাঞ্জের বিষয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াতে থাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের গোপন তথ্য তথ্য ফাঁস আটকাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। হিলারির নির্বাচনি প্রচারণা শিবিরের চেয়ারম্যান জন পোডেস্তার ইমেইল ফাঁসের পরপরই এই কথা জানায় উইকিলিকস।
এদিকে, ওই গুজবের জবাব দিয়েছে ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষ। ইকুয়েডরে অবস্থিত মন্ত্রণালয়ের থেকে একটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা প্রেস এসোসিয়েশন (পিএ)-এর কাছে দাবি করেছে, ‘২০১২ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রক্ষা করে যাবে ইকুয়েডর।’ ওই সূত্র আরও দাবি করেছে, তারা টুইটারে ছড়ানো গুজবের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায় না। ওই বক্তব্যের পর অপর এক টুইট বার্তায় উইকিলিকস স্পষ্টভাবেই ওই ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে। উইকিলিকস-এর দাবি, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, শনিবার গ্রিনিচ মান সময় ৫টায় গোল্ডম্যান শ্যাস-এ দেওয়া ক্লিনটনের ভাষণ প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ