স্কুল ছাত্রকে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা ওসি-ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
এস এম নূর মোহাম্মদ : টাঙ্গাইলের সখিপুরে স্কুলছাত্রকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম এবং সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমান আদালতের দেওয়া দুই বছরের সাজা বাতিল করে ওই স্কুল ছাত্রকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনায় জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। ওসি ও ইউএনওকে প্রত্যাহারের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টে ওই ছাত্রের জবানবন্দির আলোকে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে টাঙ্গাইলের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রায়ের পর ওই স্কুলছাত্রের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ছেলেকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল আদালত সেটা বাতিল করেছেন। আমি এতে খুশি। তবে টাঙ্গাইলেই যেন তাকে পড়ালেখা করানো যায় এ জন্য ছেলের নিরাপত্তা চাই। আর স্কুল ছাত্র ছাব্বির আহমেদ শিকদার বলেন, আমি রায়ে খুশি। আমি পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে চাই।
রায়ের পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, যে সাজাটা দেওয়া হয়েছিল, সেটা অবৈধ এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। তাই ওই সাজা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে ফেইসবুকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়ের ব্যাপারে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করায় স্কুলশিক্ষার্থী ছাব্বির শিকদারকে দ- দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। এ বিষয়টি গত ২০ সেপ্টেম্বর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত হয়। পরে তা আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ইউএনও এবং ওসিকে তলব করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএনও এবং ওসি আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে দ- প্রদানের বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দেন।
সেদিন ইউএনওর আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন আদালতে বলেন, সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে ঘটনা যেভাবে এসেছে, তা সঠিক নয়। আর ওসির আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর কাছে গাঁজা পাওয়ার ঘটনায় তাকে দ- দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে স্কুলছাত্র উপস্থিত হয়ে নিজের ওপর করা নির্যাতনের বর্ণনা দেন। শুনানি শেষে বিষয়টি গতকাল আদেশের জন্য ধার্য ছিল। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি