ডাকাতির অভিযোগে জেএমবির ৭ সদস্য গ্রেফতার
আজাদ হোসেন সুমন: রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা। এরা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারা হলেন- মো. কাশেম ওরফে কাউছার ওরফে কাশু (২০), নাজমুল হাসান ওরফে নয়ন ওরফে নরেশ (২৩), মো. রাশেদ ওরফে কাকলির বাবা (২৭), মো. সেন্টু হাওলাদার ওরফে জাহিদ (২৬), মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শুভ্র ওরফে আকাশ (২০), মো. আবদুল বাছেদ (২২) ও মো. জুয়েল সরকার ওরফে সোহরাব ওরফে সরকার (৩২)।
এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে ৬৭ ভরি স্বর্ণ, ৪টি পিস্তল, ৫টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, নগদ ৬ লাখ ৮৮ টাকা, ৯টি চাপাতি, ২টি রাম দা, ১০টি মোবাইল, ২টি টিভি, ৪টি ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ৮ বোতল, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পাউডার ৩ প্যাকেট, ৪টি স্বর্ণ মাপার যন্ত্র, ২টি ল্যাপটপ, ১টি ওয়ালটন ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল এবং ১টি ইমিটেশন বক্স উদ্ধার করা হয় বলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটি) -এর প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তারা ডাকাতি করে থাকে। ডাকাতির টাকা এবং মূল্যবান মালামাল বিক্রয় করে একটি বৃহৎ অংশ সংগঠনের কাজে ব্যয় করে থাকে। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে বনানী থানায় ও অক্টোবর মাসে তেজগাঁও থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত মামলা দুটির তদন্ত সূত্রে এ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম