প্রধানমন্ত্রীর শোক, ৪ জন বরখাস্ত উড়িষ্যা ভুবনেশ্বর হাসপাতালে আগুনে নিহত ২৪, তদন্তের নির্দেশ
ইমরুল শাহেদ: সোমবার গভীর রাতে ভারতের উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড এসইউএম হাসপাতালের আইসিউ ইউনিটে আচমকা আগুন ধরে গেলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং ১২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে দি হিন্দু জানিয়েছে। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই হতাহতের ঘটনায় টুইটারে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাকে গোটা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে মুম্বাইয়ের একটি অভিজাত আবাসিক বহুতল ভবনে আগুন লেগে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ২১ তলা মেকার টাওয়ারে দুটি ফ্লাট ধ্বংস হয়েছে গেছে বলে এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়। এ সময় এক শিশুসহ ১১ জন উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে।
উড়িষ্যা সরকারের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাপিটাল হাসপাতালের ডিরেক্টর বিবি পট্টনায়েক জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা হাসপাতালের আইসিইউতে ভেন্টিলেটরে ছিলেন। এদের অধিকাংশই দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে।
ডা. পট্টনায়েক বলেন, আহতদের ক্যাপিটাল হাসপাতাল, আমরি হাসপাতাল, অ্যাপোলো হাসপাতাল, কলিঙ্গ হাসপাতাল, কটকে এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক আহতদের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। দি হিন্দু জানিয়েছে, ঘটনার পর তিনি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সবকটি হাসপাতালই তিনি পরিদর্শন করেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অতনু এস নায়েক জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাসংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, কেন্দ্র থেকে উড়িষ্যাকে সব রকম সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘এআইআইএমএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং রোগীদের সব রকম সহায়তা দিতে বলেছি।’
দি হিন্দু জানিয়েছে, ঘটনার পর হাসপাতালের চার জন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ আগুনে দমবন্ধ হয়ে ৮৫ জন রোগীসহ ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।