কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ খুবই জরুরি
খুশি কবির
অ্যাম্বুলেন্স চালকের অসচেতনতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে এলাকায় যে দুর্ঘটনাটি ঘটল, চারজন মানুষ মারা গেল তা খুবই দুঃখজনক, মর্মান্তিক ও হতাশাজনক। অ্যাম্বুলেন্স অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কারও অসচেতনতায় মানুষের প্রাণ যাবে তা তো মেনে নেওয়া যায় না। এমন ঘটনা কারও প্রত্যাশিত নয়। এ অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য মূলত অ্যাম্বুলেন্স চালকই দায়ী। কিভাবে এ ধরনের চালক অ্যাম্বুলেন্স চালানোর অনুমতি বা নিয়োগপ্রাপ্ত হয় সেটিই খুব আশ্চর্যের বিষয়।
শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নয়, ঢাকার অন্যান্য অনেক হাসপাতালগুলোর অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অবস্থাও প্রায় একই। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল হচ্ছে, এ্যাপোলো হাসপাতাল। সেখানকার অ্যাম্বুলেন্স চালকদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নানা সময়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে দেখা যায়। সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু তার সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না বলে আমি মনে করি এবং কোনো অ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে, যাতে নিয়োগ দেওয়া হয় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকা উচিত।
শুধু সরকারি হাসপাতালগুলো নয়, একইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও অ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগ দেওয়ার আগে যথাযথ মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা এবং সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় খুব সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তারপর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ খুবই জরুরি।
পরিচিতি: মানবাধিকারকর্মী
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা: আশিক রহমান