জনকল্যাণমূলক নেতৃত্বই জনপ্রত্যাশা
সৈয়দ আবুল মকসুদ
আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনকে ঘিরে চারদিকে অনেক আলোচনা হচ্ছে। নতুন নেতৃত্বের কথা বলা হচ্ছে। আলোচনায় আছে আরও অনেক কিছুই। তবে নতুন নেতৃত্ব এলেই যে ভালো ফল পাওয়া যাবে, ভালো মানুষ পাওয়া যাবে, পুরনো নেতৃত্ব যে খারাপ সেটাও বলা যাবে না। মূল কথা হচ্ছেÑ যে নেতৃত্ব সমাজ বা রাষ্ট্রের নাগরিকরদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে ভালো নেতৃত্ব তাকেই বলা যাবে। জনগণ এমন নেতৃত্বই প্রত্যাশা করছে, যারা জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদন করতে দ্বিধা করবে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারবেন, জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবেন এমন নেতৃত্বই জনপ্রত্যাশা।
বর্তমান সরকার প্রায় ৮ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। বহু উন্নয়নমূলক কাজও তারা করেছে। বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল লক্ষ্যণীয়। জনগণের কতগুলো মৌলিক চাহিদা রয়েছে, তার মধ্যে সমাজে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণÑ এ বিষয়গুলোর প্রতি সরকারকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যখন মানুষের মৌলিক অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে, তখনই সামগ্রিকভাবে তাদের নেতৃত্ব মানুষের কাছে সমাদৃত হবে। নেতৃত্ব এখন মূল্যায়িত হচ্ছে না এমনটি নয়, তবে নেতৃত্ব এমন একটি জায়গায় পৌঁছানো দরকার, যাতে মানুষের কাছে আরও বেশি সমাদৃত হয়।
জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠনের বেশকিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। এ বিষয়ে আগে থেকে বলা মুশকিল। একটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠন যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের সমস্যাগুলো বাইরে থেকে ভালো বোঝা যায় না। একটি সরকার অনেক পলিসি গ্রহণ করে থাকে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু তাদের সেই পলিসি জনগণের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, তারা জনগণের কতটা কাছে যেতে পারছে সেটাই মূখ্য বিষয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা কতটুকু মেটাতে পারছে তা খোলামেলা আলোচনা করার মাধ্যমেই জানা সম্ভব।
পরিচিতি: লেখক ও গবেষক
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশিক রহমান