কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ
আনিসুর রহমান তপন: ২৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ‘কর্ণফুলী টানেল’ নির্মাণকাজ তদারকি এবং ডিজাইন রিভিউর লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বনানীর সেতুভবনে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কবির আহম্মেদ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে মি. গ্যাভিন হ্যারং স্ট্রিড স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টানেলের বিস্তারিত নকশা রিভিউ এবং নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব পালন করবে।
চুক্তিস্বাক্ষর শেষে সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, গণচীনের সাথে জি-টু-জি ভিত্তিতে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেন বিশিষ্ট কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করছে সরকার। কর্ণফুলী টানেল বাংলাদেশের প্রথম টানেল হওয়ায় সরকার এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে। কর্ণফুলী টানেল নির্মিত হলে চট্টগ্রাম হবে সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগসহ প্রস্তাবিত মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ, প্রস্তাবিত ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পকে টানেলটি যুক্ত করবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি নদীর ওপাড়ে চীনের সহায়তায় নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন ইপিজেডকে সংযুক্ত করবে এই টানেল। নগরায়ন হওয়াতে বাড়বে কর্মসংস্থান। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মহাসড়কে উত্তরণে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
টানেলটি হবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। দুপ্রান্তের সংযোগ এবং একটি এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় নয় কিলোমিটার। শিল্ড ড্রাইভেন মেথডে নির্মিতব্য টানেলটি হবে দুটি টিউবে দুইলেন করে চারলেনের।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, কর্ণফুলী টানেল নির্র্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ইফতেখার কবিরসহ সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: রিকু আমির