শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদ ফেরত পাচ্ছেন এমপিরা!
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: সংসদ সদস্যরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদ ফেরত পাচ্ছেন। সংসদ সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাদের পুনরায় এই পদে বসানোর জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি কমিটিকে অবহিত করেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাংসদরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে আপিল করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে কমিটির সদস্যরা জানতে চেয়েছেন, সংসদ সদস্যরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদ পেতে চান, কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান ও শৃঙ্খলার জন্যই তাদের প্রয়োজন রয়েছে। সংসদ সদস্যরা যাতে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ গ্রহণ করতে পারেন, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চান সদস্যরা। জবাবে সচিব সোহরাব হোসেইন জানান, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এরপর কমিটির সভাপতি আফছারুল আমিন বলেন, যেহেতু মন্ত্রণালয় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের বাইরে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ নেই।
বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকদের জমা হওয়া অবসর ভাতার আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দরকার। অনেক দেন-দরবার করে চলতি অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা সিড মানি হিসেবে জমা থাকবে এবং বাকি টাকা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা বাবদ পরিশোধ করা যাবে। তবে বরাদ্দ হওয়া টাকা এখনো তহবিলে জমা হয়নি।
মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য একটি নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। তবে অর্থ বরাদ্দ না করলে নতুন করে এমপিওভুক্ত করা যাবে না।
গত ১ জুন হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে, সাংসদরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদে থাকতে পারবেন না। এ নিয়ে সংসদের বাজেট ও তার পরের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।