মুন্সিগঞ্জে ঘরে ঢুকে ছাত্রীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা থানায় অভিযোগ
নাদিম মাহমুদ, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চোরর্মদ্দন গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে তাহমিনা আক্তার (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এসএসসি টেস্ট পরীক্ষা শেষে বাড়ি এসে ঘরে প্রবেশ করার পর পরই স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। সে উপজেলার রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও চোরর্মদ্দন গ্রামের মো. তফিজউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে। তার বাবা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় এএসপি সার্কেল (শ্রীনগর) সামসুজ্জামান বাবু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া মঙ্গলবার রাত ১০টায় সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর মোহাম্মদ আজিম ওসির সঙ্গে থানায় বৈঠক করেছেন।
তাহমিনার বাবা তফিজ উদ্দিন জানান, কে বা কারা কুপিয়ে জখম করেছে এখনো জানা যায়নি। রাতে মামলা করেছি। র্যাব-পুলিশ এসেছিল।
তাহমিনার চাচাত ভাই সাগর জানান, টেলিফোনে খবর পাই চাচাত বোন তাহমিনাকে কোপাইছে সন্ত্রাসীরা। এসে স্থানীয় ক্লিনিক নিয়ে গেলে চিকিৎকরা ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর ডাক্তাররা জানান একটা কোপ মাথায় ৫ ইঞ্চি লম্বা, এছাড়া হাতেও একটি কোপ লেগেছে। ২ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, তাহমিনার গলায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেছে। তাহমিনা একজনকে হাতে কামড় ও আরেকজনকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে। গতরাত সাড়ে ৪টার দিকে জ্ঞান ফিরলে সে এ তথ্য জানায়। তবে পুরো সুস্থ হলে বাকিটা জানা যাবে। দুষ্কৃতকারীদের গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা ছিল চিনতে পারেনি।
তাহমিনার পাশের বাড়ির দাদি জানান, ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে এসে চিৎকার দিয়ে পড়ে যায় তখন আমরা জানছি। সন্ত্রাসীরা পালাইয়া গেছে।
তাহমিনার পাশের বাড়ির ভাবী জানান, দুইজন দুর্বৃত্ত ছিল গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা, ওকে কোপানোর পর একটার হাতে কামড় দিয়ে ছুটে এসে পড়ে যায় আমাদের বাড়ির উঠানে। দুর্বৃত্তরা ওদের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আমরা দেখতে পারি নাই।
সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসন জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে। বর্তমানে পুলিশের একাধিক টিম হামলাকারীদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত-তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।